স্থানীয়দের অভিযোগ, চিড়িয়াখানার খাঁচায় নেই প্রাণী। বোটানিক্যাল গার্ডেন ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমে থাকে। এছাড়া বছরের পুরো সময় জলাবদ্ধতা লেগে থাকে। পরিবার-পরিজন ও শিশুদের নিয়ে বেড়ানোর কোনো পরিবেশই এখানে নেই।
২০ টাকায় প্রবেশ করে অর্থ অপচয়ের ক্ষোভও প্রকাশ করে বেশিরভাগ দর্শনার্থী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলায় ৬৫ লাখেরও বেশি লোকের বাস। তাদের বিনোদনের জন্য জেলায় সরকারি বিনোদন কেন্দ্র বা পার্ক রয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি। এর মধ্যে জেলা শহরের ডিসি বাংলা রোডের চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনটি একটি। চিড়িয়াখানায় খাঁচা থাকলেও বেশির ভাগ পরিত্যক্ত ও খালি পড়ে আছে। আর বোটানিক্যাল গার্ডেনটিতে জলাবদ্ধতা থাকে বছর জুড়ে। চিড়িয়াখানা প্রবেশ মুখে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। বোটানিক্যাল গার্ডেনে নেই উল্লেখ করা মতো কোনো গাছপালা। ভেতরের সব সড়ক খানাখন্দে ভরা ও জলমগ্ন। দর্শনার্থী আসলেও পরিবেশ দেখে ফিরে যায়। এছাড়া শিশুদের জন্য কোনো রাইডও নেই।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের ইজারাদার আনিস আহমেদ জানান, চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল ইজারার মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়। তবে দুরাবস্থার কারণে প্রতিবছরই লোকসান দিতে হয়।
এদিকে কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো. হেলাল উদ্দিন জানান, অচিরেই প্রকল্প হাতে নিয়ে তা সংস্কার করা হবে।
চিড়িয়াখানায় নানা প্রজাতির প্রাণী আনা আর বোটানিক্যাল গার্ডেনটিতে মাটি ভরাট করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা লাগালে দর্শনার্থী যেমন বাড়বে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়ার পাশাপাশি জেলাবাসির বিনোদনের স্থান হবে বলে আশা করেন এ অঞ্চলের অধিবাসী।